বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’

আজিজুল শাহজী

এই অন্তর্জালে নানান মানুষের কাছে এই বইটির বিষয়ে আলোচনা শুনে কৌতূহলী হয়েছিলাম।আপনারা যারা আমাকে জানেন তাদের সম্যক ধারণা আছে যে আমি বই ইত্যাদি অন্য ভাবে নিয়ে থাকি তাই একটু সময় লেগেছে এটি যোগাড় করতে।যা কোনোদিন করিনি তাই করার প্রয়াসে এই কাজ।অতীব উচ্চ মার্গের এই বইটির একটু পর্যালোচনা পাঠাভ্যাস(রিভিউ বললাম না ইচ্ছা করেই)করার জন্য এই লেখা।আমি কোনোদিন এই কাজ করিনি তাই পাঠকের কাছে ক্ষমাসুন্দর চোখে এই লেখাটিকে দেখতে অনুরোধ করবো।
এই বইটির মূল চরিত্র মূলত কয়েকটি আর প্রধান চরিত্র অতীশ দীপঙ্কর যিনি বৌদ্ধ ধর্মের বা সম্পর্কিত বিষয়ে তৎকালীন বাংলা থেকে সুদূর তিব্বতে গিয়েছিলেন ওই দেশের রাজার অনুরোধে।একক চেষ্টায় এই মানুষটি তৎকালীন তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের জন্য অভূতপূর্ব কাজ করেন।একই সাথে,সেই সময়ের বৌদ্ধ ধর্মের নানান মার্গ আর মতের এক মিশ্রণ যে সমস্যা সমাজে করেছিল তার নিরসনে তিনি পথের সন্ধান দিয়েছিলেন বলে জানতে পারছি।

মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

খোয়াবনামা : জীবনযুদ্ধ ও সমকাল

খোয়াবনামা : জীবনযুদ্ধ ও সমকাল

https://shilpo-shahitto.blogspot.com/2023/09/blog-post.html



অমিয়ভূষণ মজুমদার : সত্তার বিস্তার

 রীতা মোদক

“আমার জীবন সমতলের হাঁটুজলের নদী। পার আছে, পারে ঘরবাড়ি, ধানের আর তিলের ক্ষেত, মেয়েরা জল নিতে আসে, রাতে গুলবাঘাও হয়তো, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত আছে, কিন্তু নিতান্ত সাধারণ, ভুলে যাওয়ার মতো ঢেউ ওঠে না, মধুকর ডোবে না, জলদস্যুদের বছর চলে না।”(১)


শুধু তাই নয়, নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে অন্যত্র জানিয়েছেন, — “আমি জানিনা কি করে মন তৈরী হয়, কিন্তু আমার এই জীবনে আজ পর্যন্ত কিছু extra-ordinary ঘটেনি।” (২) নিজের সম্পর্কে একথা বললেও তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যপাঠ আমাদের জীবনের বিভিন্নতলে সঞ্চরণ করায়। নিত্য-নতুন ঘটনা ও বিষয়ের দ্বার উন্মোচন করে। ঐতিহ্যপূর্ণ পারিবারিক উত্তরাধিকার যেন অজান্তেই তাঁর রচনায় স্থান করে নেয়।

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের গল্প

 

গল্প-পাঠের নেটসূত্র

https://www.galpopath.com/2023/03/blog-post_73.html

‘মহিষকুড়ার উপকথা’

অমিয়ভূষণ মজুমদারের উপন্যাস

‘মহিষকুড়ার উপকথা’ নিচের লিঙ্ক থেকে পাঠ করুন :

https://docs.google.com/document/d/1iXMgA4yfJr74VQ3BgDyIGR4uRZVYrwnW_zvnrzxInxk/edit?usp=sharing









বিরলগোত্রের অমিয়ভূষণ মজুমদার

 অমর মিত্র

শতবর্ষ পার হয়ে গেছে তাঁর। অমিয়ভূষণ মজুমদার থাকতেন কোচবিহার শহরে। সাহিত্যের জন্য কলকাতায় এসেছেন অনেক লেখক। অমিয়ভূষণ সেই দ্বারবঙ্গের ( দ্বারভাঙা ) বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় বা পূরণিয়ার সতীনাথ ভাদুড়ীর মতো কলকাতার বাইরে নিভৃতে থেকে গিয়েছিলেন। আজ থেকে ৩৫-৪০ বছর আগে কলেজস্ট্রিটের ফুটপাথ থেকে অমিয়ভূষণের গল্পের বই ‘দীপিতার ঘরে রাত্রি’ কিনে প্রথম পড়েছিলাম তাঁকে। এরপর পড়েছি ‘মহিষকুড়ার উপকথা’, ‘নয়নতারা’, ‘রাজনগর’—উপন্যাস। পড়েছি চাঁদবেনে, মধু সাধুখাঁ। অমিয়ভূষণ এক বিরলগোত্রের লেখক ছিলেন। অমিয়ভূষণকে আমি পড়েছি তার অসামান্য জীবনবোধের কারণে। চিত্রময়তার কারণে। আবার তাঁকে পড়িওনি তাঁর কোনো উপন্যাসের গদ্যের জটিলতার কারণে।

শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

চেতনাপ্রবাহের বিচিত্র উদ্ভাস

সৈয়দ আজিজুল হক


সুশান্ত মজুমদারের (জ. ১৯৫৪) গল্পপাঠ পাঠকদের প্রচুর মনোযোগ দাবি করে। কারণ, বহির্বাস্তবের রূপ বর্ণনার পরিবর্তে অন্তর্বাস্তবতার স্বরূপ উন্মোচনই তাঁর গল্পের প্রধান প্রবণতা। এই বৈশিষ্ট্যসূত্রেই কাহিনি বয়ানে অনিবার্যভাবে অন্বিষ্ট হয়েছে চেতনাপ্রবাহ রীতি১। মানবমনের চিন্তনপ্রক্রিয়ার নিগূঢ় রহস্যকে তিনি চিত্রাত্মক পরিচর্যার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করতে আগ্রহী। চেতনাপ্রবাহ রীতির স্বভাবধর্ম অনুযায়ী, তাঁর গল্পের কাহিনি আখ্যানধর্মী নয়, বরং কাল-পারম্পর্যহীন, উল্লম্ফনমূলক ও মনোবিশ্লেষণাত্মক। এ-কারণে তীক্ষ্ণ ও প্রখর মনোযোগ ছাড়া তাঁর গল্প-কাঠামোয় অনুপ্রবেশ করা কিংবা চরিত্রের মনোজগতের কল্পনাপ্রবাহকে অনুসরণ করা দুরূহ।