বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’

আজিজুল শাহজী

এই অন্তর্জালে নানান মানুষের কাছে এই বইটির বিষয়ে আলোচনা শুনে কৌতূহলী হয়েছিলাম।আপনারা যারা আমাকে জানেন তাদের সম্যক ধারণা আছে যে আমি বই ইত্যাদি অন্য ভাবে নিয়ে থাকি তাই একটু সময় লেগেছে এটি যোগাড় করতে।যা কোনোদিন করিনি তাই করার প্রয়াসে এই কাজ।অতীব উচ্চ মার্গের এই বইটির একটু পর্যালোচনা পাঠাভ্যাস(রিভিউ বললাম না ইচ্ছা করেই)করার জন্য এই লেখা।আমি কোনোদিন এই কাজ করিনি তাই পাঠকের কাছে ক্ষমাসুন্দর চোখে এই লেখাটিকে দেখতে অনুরোধ করবো।
এই বইটির মূল চরিত্র মূলত কয়েকটি আর প্রধান চরিত্র অতীশ দীপঙ্কর যিনি বৌদ্ধ ধর্মের বা সম্পর্কিত বিষয়ে তৎকালীন বাংলা থেকে সুদূর তিব্বতে গিয়েছিলেন ওই দেশের রাজার অনুরোধে।একক চেষ্টায় এই মানুষটি তৎকালীন তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের জন্য অভূতপূর্ব কাজ করেন।একই সাথে,সেই সময়ের বৌদ্ধ ধর্মের নানান মার্গ আর মতের এক মিশ্রণ যে সমস্যা সমাজে করেছিল তার নিরসনে তিনি পথের সন্ধান দিয়েছিলেন বলে জানতে পারছি।
লেখাটির একটি মূল আকর্ষণ সময়ের মানে অতীত বর্তমান বা ভবিষ্যতের সমান্তরাল চলার এক রূপক।লেখক সন্মাত্রানন্দ একাদশ শতকের অতীশ দীপঙ্কর এর সময়ের সাথে সমান্তরাল ভাবে এনেছেন দুশো বছর পরের এক বৌদ্ধ লামা চাগ লোচাবা কে।এই মানুষটি আবার অতীশের উপর জানতে আসে এই দেশে।তার নালন্দায় আসার সময় তুর্কি বখতিয়ার খিলজি তার হত্যা আর ধ্বংস চালাচ্ছে ওই জায়গায়।চাগ এর দেখা হয় বৃদ্ধ ভিক্ষু শ্রীভদ্রের সাথে।এই ভিক্ষু তাঁকে পালিয়ে যেতে বলে,নাছোড় চাগ তাকে নিয়েই গুপ্ত পথে পালায় ওই হত্যালীলার মধ্যে দিয়ে।শ্রীভদ্র তাকে উপহার দেন অতীশের নিজস্ব একটি কাঠের পেটিকা যাতে ছিল তার জপমালা ,একটি দিনলিপি আর তার আরাধ্যা তারা দেবীর একটি ছোট মূর্তি।
একই সাথে এক মোচড়ে সন্মাত্রানন্দ আমাদের নিয়ে যান বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশ এবং এই দিকের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বিবিধ অঞ্চলে।এর কারন সেই পেটিকা বা ওই বস্তু গুলোর প্রকাশ, আর তা খুঁজে পায় বাংলাদেশের সাধারন এক চাষির মাধ্যমে।এক পর্যায়ে এর শিকড়ের সন্ধানে ভারতের আর্কিওলজিকাল সোসাইটির দফতর ঘুরে আসে এই বিষয়ে পন্ডিত অধ্যাপক সম্যক ঘোষের হাতে।তিনি তার প্রাক্তন ছাত্র এবং কাছের মানুষ অমিতায়ুধ কে এই অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশের অতীশ দীপঙ্করের নিবাসে যাওয়ার আর সম্পর্কিত খোঁজ করার কাজ দেন।এই পর্যায়ে আসে আরো একটি চরিত্র শ্রীপর্ণা,যিনি তিব্বতি ভাষা বা সম্পর্কিত সংস্কৃতের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।পরবর্তীতে অবশ্য আর কোনো জায়গায় তার কোনো ভূমিকা দেখতে পাই না।এতে একাদশ শতকের শুরুর সাথে ত্রয়োদশ শতকের সময় আর পরবর্তীতে আধুনিক এই আজকের পৃথিবী কে কখনো আলাদা আবার কখনো কোনো চরিত্রের সময়ের সরণি বেয়ে আগে পিছে করার এক অসাধারন বুননে এই ইতিহাস ভিত্তিক কাহিনী দাঁড়িয়ে।একই সাথে এই তারা মূর্তির তিনটি মূর্তির অবস্থানের খোজ ও এসেছে কাহিনীতে।
এই পেটিকা খুঁজে পাওয়া বাংলাদেশের মুনশিগঞ্জের বজ্রযোগিনী গ্রামের চাষি অনঙ্গ দাস আর তার মেয়ে জাহ্নবী কে দিয়ে কাহিনীর শুরু হয় এই বর্তমান সময়ের।লেখক অসাধারন দক্ষতার সাথে এই অঞ্চলের একটা বর্ননা বা ভাষার বিন্যাস করেছেন যদিও তিনি এর জন্য বইতে ঋণ স্বীকার করেছেন স্থানীয় মানুষের তবে আমার মতে এই কাজে যথেষ্ট মনযোগ নিজেই দিয়েছিলেন।যাই হোক,এই পেটিকার কারণে পরবর্তীতে অমিতায়ুধের বাংলাদেশে আসা।এই অনঙ্গের বাড়িতেই তার সাথে প্রথম দেখা অনঙ্গের মেয়ে জাহ্নবীর যদিও কোনো আলাপ তখন হয় নি তাদের।বাংলাদেশের অবিসংবাদী আতিথেয়তা বা নানান রান্নার বর্ননা একদম নিখুঁত বলা যায়।উঠে এসেছে তাকে অযাচিত ভাবে আতিথ্য দেওয়া গ্রামের শিক্ষক আবু তাহের বা তার স্ত্রী আনোয়ারার ক্ষনিকের উপস্থিতি।এসেছে পরবর্তীতে ওই অঞ্চলে একদা হিন্দু একটি জমিদার বাড়ির বর্তমান অধিকার ভোগী বৃদ্ধ মোতালেব মিয়ার কথা।যার আন্তরিক ইচ্ছা তার এই বাড়িটি কে ভুতে /জ্বিনে পাওয়া বলে বিখ্যাত করে তোলার কিছু হোক।অতঃপর এই বাড়িতেই এক পর্যায়ে অনঙ্গের মেয়ে জাহ্নবীর সাথে অমিতায়ুধের স্বাক্ষাৎ আমরা ক্রমশঃ পরিচিত হই ত্রয়োদশ শতকের সেই আগের বলা চাগ লোচাবা এবং রহস্যময়ী তন্ত্র সাধিকার এবং কাহিনীর অন্যতম প্রধান চরিত্র স্বয়ংবিদ্যার সাথে।এই বাড়িটির গুপ্তপথ আর আলোচ্য অতীশ দীপঙ্করের মূল নিবাস যা স্রেফ একটি ঢিবির মতো হয়েছিল,তার রহস্য ভাঙ্গলাম না,তাতে বইটি পড়ার মজা চলে যাবে।
চাগ লোচাবার চোখ দিয়ে আমরা দেখি সেই ত্রয়োদশ শতকের তান্ত্রিক দর্শন বা চর্চার এক রূপ যাতে এক পর্যায়ে স্বয়ংবিদ্যার সাথে তার সঙ্গী বা পুরুষ সাধক অবধূতের এক সাধনা সঙ্গমের দৃশ্যে চাগ স্মরণ করেছেন তিব্বতি দর্শন কে।এই দুশো বছর আগের পৃথিবীতে অতীশ দীপংকর পরিচিত স্থানীয় এক রাজার পুত্র চন্দ্রগর্ভ হিসেবে যার কৈশোরের সঙ্গিনী কুন্তলা ছিল তারই বাবার দ্বাররক্ষীর মেয়ে।জাতপাতের এক পঙ্কিল সময়ে এই দুর্ভাগা মেয়েটি বা তার বাবা পতিত হয়েছিলেন আর মেনে নিয়েছিলেন নিজেদের এই অধোগতি।চন্দ্রগর্ভের শ্ৰেণী বিভাজন না মেনে এই স্বচ্ছন্দে মেলামেশা সমস্যা হয়ে ওঠে কুন্তলার জন্য।এই অনাবিল রহস্যের এক প্রধানা চরিত্র স্বয়ংবিদ্যা কালের মানে সময়ের এক ভ্রমণ করিয়েছে চাগ কে যাতে সে তার অতীশ দীপঙ্করের জীবনের সাথে পরিচিত হয় তার দুশো বছর আগের এক সময়ে গিয়ে।
চন্দ্রগর্ভের শ্ৰেণী বিভাজন না মেনে এই স্বচ্ছন্দে মেলামেশা সমস্যা হয়ে ওঠে কুন্তলার জন্য।এক পর্যায়ে এই সম্পর্কের রূপ যে এই দুইজনের মধ্যে একেবারেই আলাদা ছিল তা প্রকাশ পায় এক তন্ত্রের চক্রে।প্রচলিত তন্ত্রে দীক্ষিত হওয়ার পথে গুরু রাহুলগুপ্তের আয়োজন করা তন্ত্র চক্রে চন্দ্রগর্ভে তাঁর চক্র সঙ্গিনী হিসেবে কুন্তলা কে দেখে।চন্দ্রগর্ভ আর কুন্তলার বয়েসের ফারাক না থাকলেও এক অজানা অপত্য স্নেহের বশে কুন্তলাকে নিজের কন্যা রূপে দেখেছিল আর কুন্তলা তাকে চেয়েছিল নিজের প্রণয়ী হিসেবে।চন্দ্রগর্ভ চক্রের সঙ্গিনী বা সাধনমার্গের যোগিনী হিসেবে কুন্তলা কে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।এই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয়ে কুন্তলা আত্মঘাতিনী হয় পাশের খাদে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে।চন্দ্রগর্ভ সব পরিত্যাগ করে গ্রহন করে বৌদ্ধ পথ আর পরবর্তিতে হন আলোচিত অতীশ দীপঙ্কর।
ক্রমশঃ আমরা জানতে পারি বর্তমানের জাহ্নবীর ডাকনাম এই সময়েও কুন্তলা আর সে একই ভাবে স্বয়ংবিদ্যা।যুগে যুগে সে অজস্রবার জননী থেকে স্ত্রী কন্যা বা প্রেয়সীর ভূমিকায় এসেছে বা আসবে।একই ভাবে এক অনন্ত সন্ধানে খুঁজে ফেরা এই পৃথিবীর অন্য মানুষ ও একই ভাবে চলছে মহা নির্বানের এক অমোঘ পথে।যুগের পথে যাত্রী হয়েছে চাগ আর কথক হয়েছে এই সময়ের এক মানুষ শাওন।সে অমিতায়ুধের পরিচিত এবং এক একলা চলা মানুষ।কোন অলখ জাদুকরের নির্দেশে সে যেন লিখে যায় এই কাহিনী আর অন্যদিকে বাস্তবের পথে অমিতায়ুধ বস্তুগত ভাবে খুঁজে চলে এই পেটিকার বস্তুর প্রত্নতাত্বিক শিকড়ের খোঁজ।মূলতঃ এই শাওন লেখকের অপর একটি রূপ।সে একই ভাবে খুঁজে চলে অতীশ নামের মানুষটিকে তার চিন্তায়।
লেখক তুলে ধরেছেন ওই সময়ের এক রাজনৈতিক বা সামাজিক ভাবে বিভক্ত ছবি।একই সাথে সেই সময়ের এক সার্বিক অবক্ষয়ের মধ্যে যুদ্ধ কুশলী আর ধ্বংসের প্রবল তান্ডব নিয়ে আসা সেই আরব আর তুর্কি জনজাতির প্রবেশ বা নালন্দার সর্বনাশের কথা ও তুলে ধরেছেন।কালের আয়নায় চাগ দর্শন করেছে দীপঙ্করের তন্ত্রের পথ ছেড়ে বৌদ্ধ মার্গের পথে যাওয়া আর এক পর্যায়ে এক প্রারব্ধ কাজ মানে অতীশ কে তিব্বতে নিয়ে যাওয়ার কাজে নিজের অজান্তেই নিয়োজিত হয় অন্য দেহে মানে নিজের আগের জন্মের এক রূপ বীর্যসিংহের দেহে প্রবেশ করে।একই ভাবে এই কালের পরিভ্রমনের আস্বাদ করেছে আরো এক চরিত্র অমিতায়ুধ।চাগ কে দর্শন করা বা নানান কাজের দর্শন যেমন করেছে তেমনি অতীশ দীপঙ্করের দর্শন করেছে নিজের অজান্তে যদিও পারস্পরিক কোনো যোগাযোগ হয় নি তবে কালের এই খেলাকে মেনে নিয়েছে এই কাহিনীর নানান চরিত্র।চাগ এক পর্যায়ে তন্ত্র সাধনার গুহ্য তত্বে স্বয়ংসিদ্ধার সাহায্যে মোক্ষের পথের সন্ধান পাওয়া বা কুলকুন্ডলিনীর রূপ সামনে পেয়েও অন্তিম মার্গ মানে সাধন সঙ্গিনী হিসেবে সাধনার পথের দৈহিক মিলনের পথ কে সবিনয়ে অস্বীকার করে।অতৃপ্ত স্বয়ংসিদ্ধা কালের এই স্তরেও থেকে যায় অপ্রাপ্তির সোপানে।
লেখাটির একটি বিশেষত্ব হলো,এতে আরো এক মানুষের কথা বা মধ্যপ্রাচ্যের একই ধরণের তাত্বিক রূপ বা জাদুর প্রকাশের জন্য আল মোয়াজ্জিন বলে একটি চরিত্রের চিত্রণ।যে চাগ লোচাবা কে এই দেহান্তর বা এই বিদ্যার কিছু তত্ব আর ফলিত বিদ্যার প্রয়োগ দেখায়।এই প্রসঙ্গে বলা যায় প্রাচীন সময়ের ছবি আঁকার সময়ে লেখক কঠিন সাধু ভাষা বা অনেক অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করেছেন যা আমার অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে অসুবিধে হয়েছে।অতীব সামান্য এক পাঠক হিসেবে তাঁর কাছে অনুরোধ তিনি যেন এই বিষয়টা একটু পরবর্তী কোনো লেখায় মাথায় রাখেন।আমার মনে হয়,একই ভাষা থাকলে হয়তো আরো প্রাঞ্জল হতো বা অনেক বেশি সহজবোধ্য হতো সাধারণের কাছে।
লেখাটিতে উঠে এসেছে একটি কয়েক লাইনের প্রহেলিকা যা অতীশ দীপঙ্কর থেকে হালের অমিতাযুধ সবাইকে আকর্ষণ করেছে।এটি হলো অতীতের কুন্তলা বা আরো পরের স্বয়ংবিদ্যা এবং হালের জাহ্নবীর এক অনন্তঃ আকুতি।পূর্ব বঙ্গের ভাষ্যে এর কথা গুলো হয়েছে এই রকম :
“ গাছ গাছালির ভিতর দিয়া বইয়া যে যায় বায়
ম্যাঘনা নদীর বুকের উপর অস্তম্যাঘের ছায়
ফুলের পরাগ উইরা পরে সাঁঝেরো হাওয়ায়
ঢেউয়ের তালে মাতাল অইয়া নাও যে ভেসে যায়
আঁধার দিশা আলোক অইলে নয়নতারায়
দ্যাহ হাড়ের মালা আমি পরছি গো খোঁপায়
এমুন যহন অইব তহন শুন হে শ্যামরায়
ফিরা পাইব তুমার বুকে তুমারো রাধায় "
আর শুদ্ধ রূপে বাংলায় হয়েছে :
যখন বৃক্ষরাজির ভিতর দিয়ে বয়ে যাবে সমুষ্ণ বাতাস
নদীর উপর ছায়া ফেলবে গোধূলিকালীন মেঘ
পুষ্পরেণু ভেসে আসবে বাতাসে
আর পালতোলা নৌকা ভেসে যাবে বিক্ষিপ্ত স্রোতধারায়
সহসা অবলুপ্ত দৃষ্টি ফিরে পেয়ে তুমি দেখবে
আমার কেশরাজি তে বিজড়িত রয়েছে অস্থি নির্মিত মালা
তখন কেবল তখনই আমি তোমার কাছে আসবো”
এক অনন্ত জিজ্ঞাসা আর কালের নানান স্তরের একই স্থান বা ভিন্ন স্থানে মানুষের এই নানান কাজের রূপ তুলে ধরে লেখক বলতে চেয়েছেন ফারাক খালি সময়ের এক প্রাচীর যার ভেদ করা গেলেই এক অন্য অনির্বচনীয় উপলব্ধির সূত্রপাত হয়।অতীশ দীপঙ্কর যেন অমোঘ ভবিষ্যৎ কে জেনে চলা মানুষ আর অসহায় চাগ এই অনুসন্ধিৎসু পর্যটক যে কালের এই নানান স্তরে নির্দেশিত হয়ে চলেছে প্রারব্ধ কিছু কাজের নিয়োজিত এক মানুষ হিসেবে।জনম জনম ধরে অপ্রাপ্তির থেকে প্রাপ্তির পথে বাঞ্ছিত মানুষের সন্ধানে চলা কুন্তলা থেকে স্বয়ংবিদ্যা বা আজকের জাহ্নবী ও চলেছে তাঁর প্রাপ্তির সন্ধানে।কি এর সমাপ্তি ? জানতে পড়ুন 'নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা '
সবাইকে ধন্যবাদ ......
তথ্যসূত্র :
না , কিছুই না , আত্মসন্ধানের পথে মননের কোনো তথ্যসূত্র তো এখনো মানুষ খুঁজে পায় নি তাই এই লেখায় আমার কোনো তথ্যসূত্র নেই।কেবল এই সন্মাত্রানন্দ রচিত এই 'নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা ' বইটির সূত্র ভালো লাগা সেই অপ্রাপ্তির ছন্দের দুই রূপ আর বইটির প্রচ্ছদের ছবি দিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন