সোমবার, ১৮ মে, ২০২০

দোজখনামা : রবিশঙ্কর বল

newsd.in/wp-content/uploads/2017/12/rabishankar...
রবিশঙ্কর বল

কাজী মহম্মদ আশরাফ

রবিশঙ্কর বলের উপন্যাসটি শ্রমলব্ধ ও বর্ণনামূলক। দোজখনামার লেখক মির্জা গালিবের উর্দু ভাষা শিখে নিয়েছেন। গালিব উনিশ শতকের কবি, তার ভাষা আজকের দিল্লি, লাহোর, লখনউ, এলাহাবাদের মিডিয়ার তরল উর্দু না। অনেকটা বিদ্যাসাগরীয় বাংলার মতো। শুধু উর্দু ভাষা শেখাই না, দিল্লি, আগ্রা, লখনউসহ উত্তর ভারতের মুসলমানদের ইতিহাস, ভূগোল, জ্ঞানবিদ্যা, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম, দর্শনসহ সুফিবাদের বিশাল আয়তন, আরব, পারস্য, মধ্য এশিয়ার নানা তরিকা, রুমি, জামি, সাদি, খৈয়াম প্রমুখ কবিকেও একই উপন্যাসে উপস্থিত করেছেন। উপন্যাসটি লিখেছেন দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতে। পাকিস্তানের অন্যতম সেরা উর্দু লেখক সাদাত হাসান মান্টোর সাথে গালিবের সংলাপে। মান্টো বিশ শতকের গল্পকার। জন্মস্থান ভারতে, দেশভাগের পরে পাকিস্তান চলে যান। ঠান্ডা গোস্তর মতো গল্প লিখে তিনি কুখ্যাত হন। রবিশঙ্কর বল তার উপন্যাসে দুই শতাব্দীর দুই উর্দু লেখককে একত্র করেছেন। তাদের সংলাপের ভেতর দিয়ে তকী মীর প্রমুখ সমসাময়িক কবির কথাও উঠে এসেছে। বাবর-হুমায়ুনের রাজত্ব থেকে সমকালীন রাজনীতি পর্যন্ত সমাজ-রাজনীতির নানা দিক উঠে এসেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন