দিলওয়ার হাসান |
মাহমুদুল হক বাংলা কথাসাহিত্য জগতের এক অনন্য পুরুষ, এক স্বতন্ত্র
মানুষ— একথা আমাদের মনে হয়েছিল ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘যেখানে
খঞ্জনা পাখি’ পড়ে। সে এক অদ্ভুত উপন্যাস! ঘটনার ঘনঘটা নেই, আখ্যানের বিস্তার
নেই। বাবা-মা’র ভালোবাসা বঞ্চিত নিঃসঙ্গ এক বালকের দিন যাপনের সাদামাটা গল্প।
সবটাই তার একঘেয়ে আনন্দহীন নির্জন ও নিঃসঙ্গ জীবনকে ঘিরে। আর আছে তাদের বাড়ির
আশপাশের বস্তি আর ঋষিপাড়ার কতিপয় বালক-বালিকা।
অপুর জন্মের পর মা কিছুদিন তাকে নিয়ে সময় যাপন করেছে বটে, কিন্তু
তারপর মায়ের জীবনেও নেমে এসেছে দারুণ দুঃসময়। ব্যস্ত-আইনজীবী স্বামীর সঙ্গে প্রায়
তিক্ত সম্পর্ক তার। ইংরেজি শেখার নামে শিক্ষকের সঙ্গে নির্জন কক্ষে অন্তরঙ্গ সময়
কাটায়। অপুকে সঙ্গ দেয়া বা তাকে গল্প শোনানোর অবকাশ তার নেই। বাড়িতে একটা
অ্যাকোয়ারিয়াম আছে, আগে তার যত্ন নিয়ে সময় কাটত। এখন এসবের প্রতি নজর নেই তার।
ইংরেজি শিখছে তো শিখছেই। আর বিষণ্ণ অপু ভাবছে— দুর! মা যেন কী। আর
বাবাকে সে সহ্যই করতে পারে না, শয়তান মনে হয় তার কাছে।
একদিন ঋষিপাড়ার এক ইঁচড়ে পাকা মেয়ে সরুদাসীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
কী প্রচণ্ড এক অন্তরঙ্গতায় অপুকে বেঁধে ফেলে সে। তার সঙ্গে গল্প করে মনে হয় সে খুব
ভালো মেয়ে। অন্যদের চেয়ে আলাদা। তার কথা শুনে একেবারে মুগ্ধ সে! সরুদাসী আশপাশের
ঘরবাড়ির নানা গোপন সংবাদ দেয়। একদিন বলে, ‘চারমান বাবুর ছোট
মেয়েটার না বিয়ে না হতেই পেট হয়েছে। মাকে বলে কিনা পেট ফেলে দিতে পারলে পঁচিশ টাকা
দেবে।’
আরো অদ্ভুত কথা বলে সে, ‘বাবুদের বাগানে
কাঁটামুদি আর ভাট ঝোপের ভেতর আমার খেলাঘর পাতা আছে, সেখানে তোতে আমাতে মাগ-ভাতার
খেলা খেলব। আমি মিছিমিছি স্নান সেরে ন্যাংটো হয়ে কাপড় বদলাবো, তুই চোখ বন্ধ করে
অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকবি। দেখলে ভালো হবে না বলে রাখলুম। ...খেয়ে দেয়ে দুজন
পাশাপাশি শোবো। তুই রাগ করে চলে যাবি। তারপর রানডি মাগী, ছেনাল মাগী বলে যাচ্ছে
তাই গাল পাড়বি। বেশ মজা হবে যাই বল, তাই নারে?’
তা এরকম অদ্ভুত আঞ্চলিক ভাষা আর আধুনিক বর্ণনা ভঙ্গি আগে কোনো
লেখায় আমাদের গোচরীভূত হয়নি বলে আমি আর আমার অকালপ্রয়াত তরুণ বন্ধু লতিফ একদিন
এলিফ্যান্ট রোডে তাঁর বাসা খুঁজে বের করে প্রায় জবরদস্তি ঢুকে পড়েছিলাম। তাঁর নিক
নেম (বটু) ধরে জোরে জোরে ডেকে যেখানে খঞ্জনা পাখি (পরে ‘অনুর
পাঠশালা’ নামে প্রকাশিত) থেকে জোরে জোরে পাঠ করেছিলাম। আমাদের আবেগ,
উচ্ছ্বাস দেখে তো বটু ভাই মুগ্ধ। ক’দিন যাতায়াতের পর খাতা-কলম
ও টেপরেকর্ডার নিয়ে তাকে কথার ঝাঁপি খুলতে বাধ্য করেছিলাম তাঁর প্রবল আপত্তির
মুখে।
‘অনুর পাঠশালা’র
কোনো কোনো চরিত্রের ভাষা একটু অন্যরকম— এ ভাষা আপনি কোথায়
পেলেন?— প্রশ্ন করেছিলাম আমরা।
তিনি বললেন, ফালানি বা ফকিরাদের ভাষা ঢাকাইয়া ভাষা। বিশেষভাবে বলতে
গেলে বলতে হয় কুট্টি ভাষা। কুট্টিভাষা আর ঢাকাইয়া ভাষার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে।
আমি কুট্টিভাষা বলতে বুড়িগঙ্গার ওপাড়ের চুনকুঠিয়ার ভাষাকেই নিয়েছিলাম। এককথায়
আঞ্চলিক ভাষা বলে সব কিছুকে চালানো যায় না। বুড়িগঙ্গার ওপাড়েই আঞ্চলিক ভাষা প্রায়
চার ধরনের। কুট্টিদের ভাষা, পূবাদের ভাষা, চৌরাদের ভাষা কিংবা কাছাইড়াদের ভাষার
তফাৎ অনেক। ‘অনুর পাঠশালা’য় আমি চুনকুঠিয়ার আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করেছিলাম। তবে শেষাবধি আমি এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছেছিলাম যে, এ ভাষা অতিমাত্রায় চপল
স্বভাবের; এর ভেতরের চাপল্য নিজস্ব গতিতে চলে, বারবার লেখকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে
চলে যেতে চায়। [সাক্ষাৎকার, রোদ্দুর, নভেম্বর ১৯৯২]
‘অনুর পাঠশালা’র
বছরখানেক আগে প্রকাশিত ‘জীবন আমার বোন’ নিয়েও তার সঙ্গে কথা হয়েছিল আমাদের। ওই বই সম্পর্কে নানাবিধ
সমালোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলাম তাঁর কাছে। বলেছিলেন, ‘জীবন
আমার বোন’ সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালের
অসহযোগ আন্দোলনের পঁচিশ দিনের খণ্ডচিত্র ওতে আছে, যা সম্পূর্ণ ঢাকা শহরকেন্দ্রিক;
আমি মুক্তিযুদ্ধের কোনো ইতিহাস রচনা করিনি, কোনোদিন ঠাট্টাচ্ছলেও বলিনি এটি
ঐতিহাসিক উপন্যাস। জানি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এ পর্যন্ত রচনা করতে না পারার
অক্ষমতা আমাদের বিদ্বজ্জনকে অন্ধগলিতে কিতাবে মিছামিছি ছোটাছুটি করাচ্ছে। ‘জীবন
আমার বোন’ সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’র জঘন্যতম কন্টকশয্যায় (রশীদ করিমের মতে) যখন, সেই তখন থেকেই,
অর্থাৎ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়ার বহু আগে থেকেই বহুভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে। গত
পনেরো-ষোলো বছরে এতো পরস্পরবিরোধী আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে যে, মাঝে মাঝে আমি নিজেই
বিভ্রান্ত হয়ে যাই। বহুদিন আগে সন্তোষদা (সন্তোষ গুপ্ত) ‘সংবাদ’-এ
একটি দীর্ঘ সমালোচনা লিখেছিলেন ‘জীবন আমার বোন’ নিয়ে। কায়েস আহমেদ তার সূত্র ধরে কিছু কথা, অর্থাৎ নিজের ভিন্ন
ধরনের মত প্রকাশ করেছিলেন। আমার নিজের ধারণায় একমাত্র কায়েসই কিছু রসবোধের পরিচয়
দিয়েছে। (প্রাগুক্ত)
‘অনুর পাঠশালা’
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হলেও ‘দ্রৌপদীর আকাশে পাখি’ ছিল তাঁর লেখা প্রথম
উপন্যাস। আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ওই প্রথম কথাটা জানিয়েছিলেন বটু ভাই— ‘দ্রৌপদীর
আকাশে পাখি’ সম্ভবত আমার প্রথম উপন্যাসই হবে। সে সময় নিজের আনন্দের জন্য অনেক
লেখাই লিখতাম, সব আর এখন মনে পড়ে না। (প্রাগুক্ত) প্রিয় বন্ধু মীজানুর রহমানকে
দিয়েছিলেন তাঁর সম্পাদিত ‘রূপছায়া’য় প্রকাশের জন্য। তা মীজান সেটা কোথায় হারিয়ে ফেলে।
‘আপনি কিছু বললেন না
তাকে?’
‘ধুর, কী বলব, মীজান
ততদিনে প্রাণের বন্ধু— ও সব জিজ্ঞেস করতে গিয়ে যদি বন্ধু বিচ্ছেদ হয়? একদিন বলেছিলেন, ‘দেশ
বিভাগের বছর তিনেক পর এদেশে এলাম। দশ বছরের নেহায়েত বালক। আজিমপুরের সরকারি
কর্মচারীদের কোয়ার্টারে থাকি। ভর্তি হয়েছি ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলে। একদিন এক টিচার
আমার গালে এমন এক চটকনা মারলেন, মনে হলো চাপাটা ভেঙে গেছে। আমার অপরাধ কী ছিল
জানো?— হাফপ্যান্ট পরে স্কুলে গিয়েছিলাম, আর মাথায় জিন্নাহ্ ক্যাপ পরিনি।
হা হা হা। তা ধরো ওটাই ছিল আমার প্রথম স্বপ্নভঙ্গ। দেশ ভাগের বেদনা আর উন্মুল হয়ে
এখানে আসাটা প্রাণে খুব বেজেছিল বুঝলে কিনা!’ তাঁর একমাত্র জীবনীকার
আবু হেনা মোস্তফা এনামের ভাষায়— এখানেও মাথা উঁচু করে বাঁচার আকাঙ্ক্ষায় বাস্তুভূমি ফেলে আসা নতুন
রাষ্ট্রের নতুন বিন্যাসে, তিনি গৃহীত হলেন অনিকেত অভিজ্ঞতায় (কথাশিল্পী মাহমুদুল
হক, বাংলা একাডেমি)।
‘আমি তখন এ দেশের
মানুষের মুখের কথা শুনে তাদের পানে চেয়ে থাকি। কানের মধ্যে বাজতে থাকে অদ্ভুত সব
উচ্চারণের ঢাকাইয়া ভাষা।’ একদিন বলেছিলেন তিনি।
মাহমুদুল হকের লেখায় আমরা পাই চব্বিশ পরগনার সুমিষ্ট ভাষা, পাই
বিক্রমপুর আর ঢাকাইয়া ডায়ালেক্ট। ছোটবেলায় বারাসাত থেকে আগত বালক স্কুল লাইব্রেরি
থেকে নিয়ে পড়তেন জুল ভার্নের অনুবাদ সাগরিকা, ক্যাপ্টেন নিমো তখন তাঁর স্বপ্নের
নায়ক। ওইসব লেখায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লিখেছিলেন নানান অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। খানিক বড় হয়ে
পড়েছেন গুন্টার গ্রাস, হাওয়ার্ড ফাস্ট। প্রতিবেশী সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহর
সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় খ্যাতনামা সাহিত্যিক শহীদ সাবেরের সঙ্গে। সাবের অল্প কিছুদিনের
জন্যে তাঁর শিক্ষক ছিলেন। তাঁরা তাঁকে সাহিত্য বিষয়ে উৎসাহিত করলেন, গাইড করলেন। এ
সব গল্প তিনিই করেছেন আমাদের সঙ্গে। সেই সময় অবধি আমরা তাঁর কালো বরফ (১৯৯২), খেলাঘর
(১৯৮৮), ও মাটির জাহাজ (১৯৯৬) উপন্যাস পড়েছিলাম আর গল্পগ্রন্থ পড়েছিলাম প্রতিদিন
একটি রুমাল (১৯৯৪)। এর বেশ পরে পড়া হয় নির্বাচিত গল্প (১৯৯৯), মানুষ মানুষ খেলা
(২০০৯) আর অগ্রন্থিত গল্প (২০১০)।
প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘প্রতিদিন একটি রুমাল’-এ
অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ১১টি গল্প। ওখানকার চারটি গল্প বুড়ো ওবাদের জমা-খরচ, হৈরব ও
ভৈরব, প্রতিদিন একটি রুমাল ও হলধর নিকারীর একদিন স্থান পেয়েছে নির্বাচিত গল্পে।
তাঁর সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ আবু হেনা মোস্তফা এনাম সম্পাদিত অগ্রন্থিত গল্পতে
প্রকাশিত হয়েছে ৪৩টি গল্প— হুয়ান রুলফোর একটি অনুবাদ গল্পসহ। এই ৪৩টি গল্পের মধ্যে মনসা
মাগো, ল্যুগার ও বেলুন, রিজিয়ার পাপ, পালক, দম্পতি, হঠাৎ জ্যোৎস্নায়, চাঁদের হিমে
ঝড়বৃষ্টি, পরী ও বাবরালি, মানুষ মানুষ খেলা গল্পগ্রন্থে (যা ২০০৯ এ মার্চে
প্রকাশিত) অন্তর্ভূক্ত আছে। ফলে অগ্রন্থিত গল্পে প্রকাশিত ওই গল্পগুলোকে অগ্রন্থিত
বলা যায় না। মজার ব্যাপার হলো মানুষ মানুষ খেলা গল্পগ্রন্থের নাম হলেও ওখানে এই
নামে গল্পের কোনো অস্তিত্ব নেই।
উপন্যাসের মধ্যে যেমন অনুর পাঠশালা, জীবন আমার বোন, কালো বরফ,
নিরাপদ তন্দ্রা ও খেলাঘর বহুল পঠিত, গল্পের মধ্যে হৈরব ও ভৈরব, বুড়ো ওবাদের
জমা-খরচ, হলধর নিকারীর একদিন, প্রতিদিন একটি রুমাল, কালো মাফলার, বেওয়ারিশ লাশ,
রিজিয়ার পাপ, মনসা মাগো, পরী ও বাবরালি, চাঁদের হিমে ঝড়বৃষ্টি, ল্যুগার ও বেলুন
বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে।
তাঁর সব গল্পই হৃদয়ের মর্মমূল থেকে উৎসারিত। চোখের নোনাজল আর হৃদয়
নিঙরানো ভালোবাসা সেখানে থাকে। চরিত্রগুলো অসাধারণই শুধু নয়, অনন্য সাধারণও।
মানুষের প্রতি অগাধ ও অপরিসীম ভালোবাসায় তাদের স্ফূরণ ঘটে। প্রতিটি লেখার নেপথ্যে
থাকে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ আর প্রচণ্ড অনুভূতিজাত ভালোবাসা।
তাঁর গল্প বা উপন্যাস নিছক কাহিনি হিসেবে পাঠ করবার অবকাশ নেই। ঘটনা ছাড়িয়ে যায় ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় বুনে দেয়া সম্মোহন সৃষ্টিকারী গল্পশৈলী। ওই গদ্যজাল যে জীবনকে মন্থন করে আনে তা এই দেশের সোঁদামাটির গন্ধ মাখানো বাঙালি সমাজেরই যাপিত জীবন। গ্রাম বাংলা আর শহর-নগরের এক আশ্চর্য সেতু তৈরি হয়েছে তাঁর অভিজাত ও অন্ত্যজ চরিত্রগুলোর অবাধ পদচারণায়। সমালোচকদের এই মূল্যায়ন যথার্থ।
তাঁর জীবন এতই অবাধ ও গতিশীল যে, ঠিক ইংরেজিতে যাকে সামআপ বলা হয়
তা করা যায় না— তবুও একথা বলা যায়, তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ আধুনিকমনস্ক ও স্বতন্ত্র
ব্যক্তিত্বের অধিকারী লেখক। গতিশীল আর জাদুময় তাঁর গদ্য, সচেতন অভিনিবেশে একটি
রুচিশীল গদ্য নির্মাণে ব্রতী। ব্যক্তিগত জীবনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হলেও ছিল নানান
ধরনের শখ আর নেশা, কুকুর-বিড়াল পুষতেন, পুষতেন পাখি, ভালোবাসতেন বৃক্ষ, কবিতা,
অরণ্য। খেলা, চিত্রকলা আর সিনেমার প্রবল নেশা ছিল। মাঝেমধ্যেই পরিবারের সঙ্গে
গিয়েছেন পীরের দরবারে। ছিলেন এক নম্বরের আড্ডাবাজ। তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিয়ে দিনের পর
দিন, রাতের পর রাত কাবার করে দেয়া যেত।
মেজাজ মননে অভিজাত হলেও মিশতে পারতেন সবার সঙ্গে, আপন করে নিতে
পারতেন সকলকে। শেষ জীবনে এসে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে নিভৃতে জীবন যাপন করে গেছেন আমাদের
সময়কার রহস্যের বেড়াজালে ঘেরা এই মানুষ, যে বেড়াজাল অতিক্রম করা আমাদের মতো সাধারণ
মানুষের পক্ষে কখনোই সম্ভব হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন